,

চুনারুঘাটে সন্তানকে দেখতে না দেয়ায় শশুর খুন :: ভারত পালিয়ে যাবার সময় জামাতা আটক

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

জুয়েল চৌধুরী : চুনারুঘাটে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগে আটক জামাতা সেলিম মিয়াকে (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে ঘটনার ৫ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ভারত পালিয়ে যাবার সময় গতকাল সোমবার ভোরে আসামপাড়া থেকে তাকে আটক করে। এর আগে গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পানছড়ি গ্রামে জামাতা সেলিমের ছুরিকাঘাতে খুন হন শশুর নুর আলম (৫০)। তিনি পানছড়ি গ্রামের বাসিন্দা। আটক সেলিম উপজেলার উত্তর কালিনগর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাতে নুর আলম তাঁর বাড়িতে ছিলেন। ওই সময় সেলিম তার শ্বশুর বাড়িতে যান। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেলিম উত্তেজিত হয়ে তার শ্বশুরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুর আলমের। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ গতকাল সোমবার পরিবারের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চুনা) আদালতে সেলিম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি রাশেদুল হক জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহের সৃষ্টি হয়। এর মাঝে সেলিমের স্ত্রী রাগ করে পিত্রালয়ে চলে যায়। এ নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা হয়। সেলিম বারবার স্ত্রীকে আনার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে সেলিম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ঘটনার আগে তার দুই বছরের সন্তানকে শশুর বাড়ি দেখতে যায়। এ নিয়ে শশুরের সাথে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সে ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। সে ভারত পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে ওসিসহ পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আর কোনো আসামি নেই। অচিরেই তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে। গতকাল বিকালেই সেলিমকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং নিহত নুর আলমের দাফন করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর